আপনার পালনকর্তা মৌমাছিকে আদেশ দিলেনঃ পাহাড়ে, গাছে এবং উঁচু চালে গৃহ তৈরী কর, এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে ভক্ষণ কর এবং আপন পালনকর্তার উম্মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
(সূরা আন-নাহল(১৬),
আয়াতঃ প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘মধুতে আরোগ্য নিহিত আছে।’ (সহীহ বুখারি: ৫২৪৮)।
আয়েশা (রা.) বলেন, প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে মধু ও মিষ্টান্ন খুব প্রিয় ছিল। (সহীহ বুখারি: ৫২৫
লিচু ফুলের মধুর উপকারীতা
লিচু ফুলের মধু শর্করা, মিনারেল, ভিটামিন,এবং প্রচুর অ্যান্টিআক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এই উপাদান গুলো শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ, হজমের সমস্যা সহ পেটের নানা সমস্যা মোকাবেলায় অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা রাখে।
এছাড়া মধু তে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার ফলে ঠান্ডা,কফ, কাশি,গলা ব্যাথা ইত্যাদি শারীরীক জটিলতা সহজেই দূর হয়ে যায়।
ত্বকের জ্বালা পোড়া এবং প্রদাহ দুরীকরণেও এই উপাদান গুলো দারুন অবদান রাখে।
উচ্চ রক্তচাপ মোকাবেলায় লিচু ফুলের মধু দারুন কার্যকর।
লিচু ফুলের মধু তে থাকা ফেনোলিক এসিড, এন্টিওক্সিডেন্ট, এন্টিএনফ্ল্যেমেটরী বৈশিষ্ট্য রক্তচাপ কমাতে ভুমিকা রাখে। যার ফলে সার্বিকভাবে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
হাড় এবং দাত গঠনে লিচু ফুলের মধুর ভুমিকা রয়েছে। নিয়মিত ভাবে লিচু ফুলের মধু সেবন করলে সামগ্রীকভাবে হাড় এবং দাতের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে।
ত্বকের চিকিতসায় লিচু ফুলের মধু দারুন উপকারী।
ব্রণ, একনি, একজিমা সহ ত্বকের তেল চিটচিটে ভাব এবং ত্বকের রুক্ষতা দুরীকরণে লিচু ফুলের মধু অনেক কার্যকর।
প্রাকৃতিক ভাবে অনিদ্রা সমস্যা সমাধান করতে মধুর উপকারিতা লক্ষনীয়। মধু মানবদেহে সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরি করে যা ভালো ঘুম নিশ্চিতে সহায়ক।
এছাড়াও লিচু ফুলের মধু সেবন মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা এবং উদ্ধেগ কমাতে ভুমিকা রাখে।